ট্রায়োসিম ২০০ এর কাজ, দাম, উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে ট্রায়োসিম ২০০, triocim 200 এর কাজ কি - triocim 200 mg কাজ কি - triocim 200, খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই ট্রায়োসিম ২০০ বা Triocim 200 সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল ভালোভাবে পড়বেন।

ট্রায়োসিম ২০০ একটি মুখে গ্রহণযোগ্য সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক, যা সেফিক্সিম ট্রাইহাইড্রেট সমন্বিত। এটি বিভিন্ন গ্রাম-পজিটিভ ও গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর। বাংলাদেশে এটি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দ্বারা উৎপাদিত হয়।

triocim 200 এর কাজ কি - triocim 200 mg কাজ কি - triocim 200

নিচে ট্রায়োসিম ২০০, triocim 200 এর কাজ কি - triocim 200 mg কাজ কি - triocim 200, খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

ট্রায়োসিম ২০০ এর দাম কত

  • প্রতি ইউনিটের মূল্যঃ ৪৫.০০ টাকা
  • প্রতি স্ট্রিপে ৪টি ক্যাপসুল, যার দামঃ ১৮০.০০ টাকা
  • ৪ স্ট্রিপের একটি প্যাকেজ, যার মোট মূল্যঃ ৭২০.০০ টাকা
অন্যান্য ফর্ম
  • ট্রায়োসিম ৪০০ মি.গ্রা ক্যাপসুল
  • ১০০ মি.গ্রা/৫ মি.লি ও ২০০ মি.গ্রা/৫ মি.লি সিরাপ

ট্রায়োসিম ২০০ কিসের ওষুধ

ট্রায়োসিম ২০০ বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়, যেমনঃ
  • উপরি শ্বাসনালী সংক্রমণ (যেমনঃ ওটাইটিস মিডিয়া)
  • নিম্ন শ্বাসনালী সংক্রমণ (যেমনঃ ব্রংকাইটিস)
  • মূত্রনালী সংক্রমণ

ট্রায়োসিম ২০০ এর কাজ কি

আপনারা অনেকেই জানেন না ! triocim 200 এর কাজ কি বা triocim 200 mg কাজ কি ? এই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর সংশ্লেষণ বাধাগ্রস্ত করে, ফলে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ও প্রজনন বন্ধ হয় এবং সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।

উপরের তথ্যগুলো পড়ে, আশা করি সকলেই triocim 200 এর কাজ কি বা triocim 200 mg কাজ কি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

ট্রায়োসিম ২০০ খাওয়ার নিয়ম

  • সাধারণত দিনে এক বা দুইবার মুখে গ্রহণ করতে হয়।
  • ডোজ এবং চিকিৎসার সময়কাল রোগের ধরন, তীব্রতা এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।
  • সঠিক ডোজ নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রায়োসিম ২০০ এর উপকারিতা

  • বিস্তৃত স্পেকট্রামঃ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর।
  • সহজ ব্যবহারযোগ্যঃ মুখে গ্রহণযোগ্য হওয়ায় সুবিধাজনক।
  • বিটা-ল্যাক্টামেজ প্রতিরোধীঃ এটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উৎপন্ন বিটা-ল্যাক্টামেজ এনজাইমের উপস্থিতিতেও কার্যকর থাকে।

ট্রায়োসিম ২০০ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ট্রায়োসিম ২০০ গ্রহণের পর কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যেমনঃ
  • পেটের ব্যথা
  • ডায়রিয়া
  • বমি বা বমি ভাব
  • ত্বকের র‍্যাশ
গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারেঃ 
  • এলার্জিক প্রতিক্রিয়া 
  • ত্বকের ফুসকুড়ি
  • চুলকানি
  • শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি
যদি কোনো গুরুতর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ট্রায়োসিম ২০০ এর সেবনে সতর্কতা

  • সেফিক্সিম বা সেফালোস্পোরিনের প্রতি এলার্জি থাকলে এটি গ্রহণ করবেন না।
  • কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ সমন্বয় করা প্রয়োজন।
  • গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অপরিহার্য।
  • অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সংক্রমণ পুরোপুরি নির্মূল হয় এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি না পায়।

লেখক মন্তব্য

ট্রায়োসিম ২০০ একটি কার্যকরী ওষুধ, যা সঠিক নিয়মে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া সম্ভব। আশা করছি, আপনি ট্রায়োসিম ২০০, triocim 200 এর কাজ কি - triocim 200 mg কাজ কি - triocim 200, খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। মনে রাখবেন, নিজের থেকে ওষুধ সেবন বিপজ্জনক হতে পারে। তাই, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন।

🔹 বি.দ্র.: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদান করার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোন রোগের চিকিৎসার জন্য সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মন্তব্যটি এখানে লিখুন

comment url