দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ

আপনি যদি গলা ব্যাথার ঔষধের নাম জানতে চান , তাহলে আপনি সঠিক ওয়েবসাইট দিতে এসেছেন । দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই ব্লগে।

দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ

দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ

যদি আপনার গলার ব্যথা তীব্র হয় এবং দ্রুত আরাম চান, তাহলে কিছু ওষুধ তাৎক্ষণিক আরাম দিতে পারে। নিচে কিছু দ্রুত কার্যকারী ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো -

  • স্ট্রেপসিলস লজেন্সঃ স্ট্রেপসিলস লজেন্স তাৎক্ষণিক গলা ঠান্ডা করে এবং ব্যথা কমায়। খুব সহজে মুখে রেখে চুষলেই কাজ শুরু হয়ে যায়।
  • প্যারাসিটামলঃ প্যারাসিটামল ব্যথা কমাতে দ্রুত কাজ করে । তখন শরীরে জ্বর থাকলেও সেটি কমিয়ে দেয়।
  • ডাইক্লোফেনাক (Diclofenac): এটি সাধারণত ব্যাথা এবং প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়, যা দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ হিসেবে কাজ করে ।
  • অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি স্প্রেঃ কিছু স্প্রে গলা ব্যথা কমাতে সরাসরি প্রভাব ফেলে এবং তাৎক্ষণিক আরাম দেয়।
উপরে গলা ব্যাথার ঔষধের নাম দেওয়া হয়নি । এই বিষয় নিয়ে নিচে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করলে, দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ এর মতই উপকার পাবেন ।

আরো পড়ুন: ৬টি সেরা পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম জানুন

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ

গলা ব্যথায় একটি সাধারন সমস্যা, যা শীতকাল বা মৌসুমী পরিবর্তনের সময় বেশি হয়। বাংলাদেশের মতো দেশে দ্রুত পরিবর্তন ঘটে এবং ধুলাবালি থাকে, গলা ব্যথা সেই দেশে স্বাভাবিক । গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ জানতে চাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক প্রশ্ন।

গলা ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন সংক্রমণ, ঠান্ডা, পরিবেশগত সমস্যা ইত্যাদি সমস্যা । গলা ব্যথা কমাতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট বা ওষুধ পাওয়া যায় । আপনি চাইলে ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বলে, সেই ওষুধ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

গলা ব্যথার ঔষধের দাম কত

বাংলাদেশে গলা ব্যথার ওষুধ এর দাম সাধারণত কম থাকে। গলা ব্যথার ওষুধ গুলো অধিকাংশ মানুষ সহজেই কিনে ব্যবহার করতে পারে। বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এ ধরনের ওষুধ তৈরি করে, যার দাম কোম্পানির উপর নির্ভর করে। সাধারণত গলা ব্যাথার ট্যাবলেটের দাম ৫৳ থেকে ২০৳ পর্যন্ত হয়ে থাকে ।

তবে কিছু বিশেষ ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক বা বিশেষ ক্যাপসুল এর দাম একটু বেশি হতে পারে। সেগুলোর দাম ৫০৳ থেকে ১০০৳ বা তার বেশি হতে পারে । আবার গলা ব্যথার ওষুধের মধ্যে সিরাপ রয়েছে । এগুলোরও দাম একেক রকম হয়ে থাকে।

গলা ব্যাথার ঔষধের নাম

বাংলাদেশের গলা ব্যথার চিকিৎসায় বেশ কিছু জনপ্রিয় ওষুধ পাওয়া যায় । নিচে কয়েকটি সাধারণ গলা ব্যাথার ঔষধের নাম তুলে ধরা হলো -

  • স্ট্রেপসিলস লজেন্স এবং প্যারাসিটামলঃ এই দুটো উপরে আলোচনা করা হয়েছে ।
  • বেনাড্রিলঃ বেনাড্রিল একটি জনপ্রিয় গলা ব্যাথার ঔষধের নাম । এটি একটি কফ সিরাপ, তবে এটি গলা ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয় ।
  • সিপলক্স (Ciplox): এই এন্ডোবায়োটিক ওষুধ সাধারণত গলা ব্যথার সংক্রমণ কমাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
  • নাপ্রোক্সেনঃ এটি একটি নন স্টেরয়েডাল এন্টি ইনফ্লামেটরি ড্রাগ, যা গলা ব্যথা কমাতে কার্য করে ভূমিকা পালন করে ।
  • মেট্রোনিডাজলঃ গলা ব্যথা এবং অন্যান্য সংক্রমণ কমাতে একটি ব্যবহৃত হয়।
গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম

গলা ব্যথা যদি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণে হয়, তাহলে আপনার জন্য গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম জানা খুবই জরুরী । কেন নাই এরকম পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম দেওয়া হলো -

  • আমোক্সিসিলিন (Amoxicillin)
  • সিফ্রক্সাজিন (Ciprofloxacin)
  • আজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin)
  • ডক্সিসাইক্লিন (Doxycycline)
এই এন্টিবায়োটিক গুলো অনেক শক্তিশালী । গলা ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ কমাতেও, এই এন্টিবায়োটিক আন্তবিক গুলো ব্যবহৃত হয়।

গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

গলা ব্যাথার ঔষধের নাম জানা না থাকলে, গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত এইটা নির্ধারণ করতে পারবেন না । তাই গলা ব্যাথার ঔষধের নাম জানা সর্বপ্রথম কাজ। এরপরে সেই ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। তাহলে আপনি নিজে থেকেই গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত সেটা নির্ধারণ করতে পারবেন।

গলা ব্যথা হলে সাধারণত প্রথমে এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং ব্যাথা নিবারক ওষুধ খাওয়া উচিত। যদি ব্যথার সাথে জ্বর থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল একটি ভালো সমাধান হতে পারে। এছাড়া লজেন্স এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি স্প্রে ব্যবহারে দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব। তবে গলা ব্যথা দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে না কমলে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।

শেষ কথা

গলাব্যথা একটি সাধারন সমস্যা হলেও, এটির সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হলে বড় ধরনের জটিলতায় রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশের ফার্মেসি গুলোতে গেলেই, আপনি অসংখ্য গলা ব্যাথার ঔষধের নাম জানতে পারবেন । তারাই আপনাকে দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ নির্ধারণ করে দেবে ।

প্রাথমিক অবস্থায় সঠিক ওষুধ গ্রহণ করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায় এবং বড় ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয়। তবে দীর্ঘস্থায়ী গলা ব্যথা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তাছাড়াও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মন্তব্যটি এখানে লিখুন

comment url