কোরালক্যাল ডি এক্স এর উপকারিতা । দাম এবং খাওয়ার নিয়ম
কোরালক্যাল ডি এক্স একটি ওষুধ, যেটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী । কোরালক্যাল ডি এক্স এর উপকারিতা এবং দাম ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে আজকের এই ব্লগে ।
স্বাস্থ্য সবার প্রথম চাওয়া, আর এক্ষেত্রে হাড়ের স্বাস্থ্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের হাড় মজুদ রাখতে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে । হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করার একটি কার্যকরী ওষুধ কোরালক্যাল ডি এক্স ।
বিবরণ | তথ্য |
---|---|
পণ্যের নাম | কোরালক্যাল-ডিএক্স ট্যাবলেট |
প্রধান উপাদান | কোরাল ক্যালসিয়াম + ভিটামিন ডি৩ |
ক্যালসিয়ামের পরিমাণ | ৬০০ মি.গ্রা. |
ভিটামিন ডি৩ এর পরিমাণ | ৪০০ আই ইউ |
উৎপাদনকারী কোম্পানি | রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড |
ইউনিট মূল্য | ৳ ১৭.০০ |
স্ট্রিপের মূল্য (১০ ট্যাবলেট) | ৳ ১৭০.০০ |
কোরালক্যাল ডি এক্স এমন একটি প্রাকৃতিক সম্পূরক, যা আমাদের শরীরের হাড় মজবুত ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। চলুন জানা যাক কোরালক্যাল ডি এক্স এর উপকারিতা , দাম এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
কোরালক্যাল ডি এক্স কি ?
আপনি ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন যে, কোরালক্যাল ডি এক্স হলো একটি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সম্পূরক , যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা হয়েছে। কোরালক্যাল ডি এক্স এর মূল উপাদান হিসেবে থাকে, সামুদ্রিক কোরাল থেকে সংগৃহীত প্রাকৃতিক ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি৩ ।কোরালক্যাল ডি এক্স এর প্রাকৃতিক উৎসের কারণে এটি অত্যন্ত সহজে শরীরে শোষিত হয় । যার ফলে হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।
কোরালক্যাল ডি এক্স এর উপকারিতা
হাড়ের ট্যাবলেট কোরালক্যাল ডি এক্স এর উপকারিতা অপরিসীম । নিচে কয়েকটি অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আমরা কোরালক্যাল ডি এক্স এর উপকারিতা গুলো আলোচনা করব ।
হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত রাখে
কোরালক্যাল ডি এক্স এর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো এটি হাড়ের স্বাস্থ্য কে মজবুত করে । কোরালক্যাল ডি এক্স এ উপস্থিত প্রাকৃতিক ক্যালসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং হাড়ের ভঙ্গুরতা কমায়। নিয়মিত কোরালক্যাল ডি এক্স গ্রহণ করলে, হাড়ের গঠন মজবুত হয় এবং অস্টিওপোরসিসের মত রোগের ঝুঁকি কমে ।
দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
কোরালক্যাল ডি এক্স এর উপকারিতা শুধু হাড়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, , এটি দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করতেও ভূমিকা পালন করে । দাঁত আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাবে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে । কোরালক্যাল ডি এক্স দাঁতের ক্ষয় রোধ করে এবং দাঁতকে মজবুত ও সুস্থ রাখে ।
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে
অনেকের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে, যা দিন দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব হয় না। কোরালক্যাল ডি এক্স এই ঘাট্টি পূরণে সহায়তা করে। কোরালক্যাল ডি এক্স এ উপস্থিত ক্যালসিয়াম দ্রুত শরীরে শোষিত হয় এবং শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করে
শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হাড়ের গঠনে ব্যাঘাত ঘটায় । কোরালক্যাল ডি এক্স ভিটামিন ডি৩ সরবরাহ করে । ভিটামিন ডি৩ ক্যালসিয়ামের শোষণ প্রক্রিয়াকে উন্নত করে । আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে, কোরালক্যাল ডি এক্স ।
প্রাকৃতিক ও নিরাপদ
কোরালক্যাল ডি এক্স এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। এতে কোন কৃত্রিম রং, পিজারভিটিভ বা ক্ষতিকারক কেমিক্যাল নেই। কোরালক্যাল ডি এক্স নিরাপদে এবং দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়াও শরীরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না ।
অস্টিওপোরাসিস প্রতিরোধ করে
মহিলাদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় । কোরালক্যাল ডি এক্স নিয়মিত সেবনের মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়। এটি হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে এবং অস্টিওপোরোসিস থেকে রক্ষা করে।
বৃদ্ধ বয়সে হাড়ের সমস্যার সমাধান
কোরালক্যাল ডি এক্স এর উপকারিতা আপনি বৃদ্ধ বয়সে এসেও ভোগ করতে পারবেন । বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাড়ের শক্তি কমতে থাকে। কোরালক্যাল ডি এক্স বৃদ্ধ বয়সেও হাড়ের শক্তি ধরে রাখতে সহায়তা করে ।
কোরালক্যাল ডি এক্স এর দাম কত
কোরালক্যাল ডি এক্স এর দাম প্রতি পিস ১৭ টাকা । একটি স্ট্রাইপে ১০ টি কোরালক্যাল ডি এক্স থাকে।
অর্থাৎ,
( ১৭ * ১০ ) = ১৭০ ৳
কোরালক্যাল ডি এক্স এর প্রতিটি স্টাইপ এর দাম ১৭০ টাকা ।
কোরালক্যাল ডি এক্স সেবনের নিয়ম
কোরালক্যাল ডি এক্স এর সঠিক খাওয়ার নিয়ম জানাটা অত্যন্ত জরুরী। কোরালক্যাল ডি এক্স খাওয়ার সময় কিছু নিয়ম অনুসরণ করা উচিত, যেন শরীর এটি ভালোভাবে শোষণ করে নিতে পারে । নিচে কোরালক্যাল ডি এক্স এর খাওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হলো -
- দৈনিক ডোজঃ সাধারণত কোরালক্যাল ডি এক্স এর একটি ট্যাবলেট দিনে একবার অথবা দুইবার খাবার পরামর্শ দেওয়া হয় । তবে এটি পরামর্শ দেয় রোগীর শরীরের অবস্থার উপর ভিত্তি করে । অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, আপনার ডোজের মাত্রা নির্ধারণ করবেন ।
- খাওয়ার সময়ঃ কোরালক্যাল ডি এক্স সাধারণত খাবারের পরে খাওয়া উচিত । এই সময় খেলে এটি খাবারের সাথে মিশে যায় এবং তাড়াতাড়ি শোষিত হয় ।
- চিকিৎসকের পরামর্শঃ যে কোন স্বাস্থ্য সম্পূরক খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।
কোরালক্যাল ডি এক্স এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণত কোরালক্যাল ডি এক্স এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে । তারপরেও কোরালক্যাল ডি এক্স সেবন করার পরে সাধারণ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনি লক্ষ্য করতে পারেন । নিচে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো উল্লেখ করা হলো -
- বমি বমি ভাব
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- ডায়রিয়া
এগুলো সাধারণত তেমন চিন্তার কোন বিষয় নয় । তবে এগুলো যদি আপনি লক্ষ্য করেন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন ।
লেখক মন্তব্য
কোরালক্যাল ডি এক্স এর উপকারিতা ভার এবং দাঁত দুই জায়গাতেই ভোগ করা যায় । হাড়ের এবং দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোরালক্যাল ডি এক্স এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অনেক মানুষই কোরালক্যাল ডি এক্স অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যেহেতু এটি একটি প্রাকৃতিক সম্পূরক, তাই এটি ব্যবহারে কেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায় না । আপনি অবশ্যই চিকিৎসক কিংবা ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নিয়ে ওষুধটি সেবন করবেন এবং কোরালক্যাল ডি এক্স এর উপকারিতা ভোগ করবেন ।
আপনার মন্তব্যটি এখানে লিখুন
comment url